আম গাছে এই মূর্হুতে/সময়ে করণীয়--কৃষিসেবা২৪
আম গাছে এই মূর্হুতে/সময়ে করণীয়ঃ
সম্মানিত আম চাষী কৃষক/কৃষাণী বৃন্দ এই মূর্হুতে আমের ফল/গুটিঝরা সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই আপনাদের আম গাছের ফল ঝরা জনিত সমস্যা হলে করণীয় সমূহ লক্ষ্য করতে পারেন।
#প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যাতিত আম ৪ কারণে ঝরে পড়তে পারে।
১/ মাটিতে রসের/পানির অভাব হলে।
২/ পোকার আক্রমণে হলে।
৩/ আমের রোগ হলে
৪/ সারের অভাবে হলে।
১/ মাটিতে রসের/পানির অভাব হলে:
সাধারণ ফাল্গুন-চৈত্র (মার্চ-এপ্রিল) মাসে বৃষ্টিপাত কম হয়। এতে মাটিতে রসের/পানির অভাব দেখা দিতে পারে ফলে আমের গুটি ঝরে পড়তে পারে।
#করণীয়:
আমের গুটি মটরদানার মতো হলে গাছের গোড়া বেঁধে দিয়ে জমির ধরন অনুযায়ী ১০-১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার পানি সেচ দিতে পারেন।
২/ পোকার আক্রমণ হলে:
আমের গুটি মটরদানা/মার্বেল আকৃতির হলে হপার ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের কারণে ফল ঝরে পড়তে পারে। তাই
#করণীয়:
#সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক
যেমন: রিপকর্ড, সাইপেরিন, রেলোথ্রিন, বাসাথ্রিন, সানমেরিন, কর্ট, বুস্টার, হেমাথ্রিন, রাইস, ম্যাজিক, মিমসাইপার, শেফা, সুরক্ষা ১০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ এমএল হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
অথবা
#ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক
যেমন: ইমিটাফ, ইমপেল, ইমু, টিডো, এডমায়ার ২০এসএল কনফিউডর ৭০ ডাব্লিউ ডিজি, জদিদ ২০০ এসএল প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ এমএল/গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
৩/ আমের রোগ হলে:
অ্যানথ্রকনোজ ও পাউডারি মিলডিও রোগের কারণে আমের গুটি ঝরে পড়তে পারে তাই
#করণীয়:
কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক
যেমন: গোল্ডাজিম, অটোস্টিন, নোইন, এমকোজিম, ফরাস্টিন, হেডাজিম, সিডাজিম, বেন্ডাজিম, আরবা, নোভা ৫০ ডব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে অথবা কাজিম ৮০ ডাব্লিউজি প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। অথবা
#প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক
যেমন: টিল্ট, একোনাজল, প্রোটাফ, প্রাউড, প্রোটেন্ট, সাদিদ ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ এমএল হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। অথবা
#ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক
যেমন: ইন্ডোফিল এম-৪৫, নেমিস্পোর, এগ্রিজেব ৮০ ডব্লিউ পি, ডায়থেম এম-৪৫, ক্যাম্পনিয়ন, ম্যানসার, কারকোজেব প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
৪/ সারের অভাব হলে
#করণীয়
বর্ষার আগে ও বর্ষার পরে বছরে দুই বার গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করতে হবে।
#এছাড়া বোরন সারের অভাবে ঝরে ও ফেটে যেতে পারে তাই প্রতি লিটার পানিতে ১.৫-২ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
No comments