আমরা কেন বোরন/সলুবর বোরন সার ব্যবহার করবো?
আমরা কেন বোরন/সলুবর বোরন সার ব্যবহার করবো?
বোরন সারের কাজ:
১/ এটি গাছের কোষ বৃদ্ধিতে এবং পাতা ও ফুলের রং আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে।
২/ বীজ উৎপাদনে সাহায্য করে।
৩/ ধানে চিটা হওয়া রোধ করে থাকে।
৪/ বোরন গাছে ফুল ও ফল ধারণে সাহায্য করে এবং
৫/ ফলের বিকৃতি রোধ সহায়তা করে।
৬/ গাছের কোষপ্রাচীর শক্ত করে, শিকড় ও ডগার বৃদ্ধি ঘটায়।
৭/ গাছের পরাগায়ন ও নিষিক্তকরণে সহায়তা করে।
৮/ বোরন আম, লিচু, কলা ইত্যাদি ফলের ফেটে যাওয়া রোধ করে।
৯/ আলুকে দাঁদ রোগ থেকে রক্ষা করে।
১০/ ডাল তেল জাতীয় ফসলের দানা গঠনে এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ:
১/ বোরন সারের অভাবে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
২/ গাছে ফুল সংখ্যায় কম আসে।
৩/ এছাড়াও গাছের অগ্রভাগ শুকিয়ে/মরে যায়, কাণ্ড কালো বর্ণ ধারণ করে।
৪/ শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়।
৫/ সবজি বা ফল গাছের ফুল ঝরা বেড়ে যায়।
৬/ ফল আকারে ছোট হয় এবং ফেটে যায়।
৭/ পেঁপে, কাঁঠাল, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের আকার বিকৃত হয়ে অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে যায়।
৮/ বোরনের ঘাটতি তীব্র হলে গমের শীষে, ভুট্টার মোচায় দানা হয় না
৯/ ডাল ও তেল জাতীয় ফসলের - (সরিষা, মসুর, মটরশুঁটি) পডে দানার সংখ্যা কম যায়। এবং দানা অপুষ্ট হয়। এছাড়া বোরনের ঘাটতি বেশি হলে পচনজনিত ক্ষত তৈরি হতে পারে।
১০/ সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
১১/ পরাগায়ন ব্যাহত হয়।
১২/ কচি কান্ডের পাতার বৃদ্ধি কমে যায়।
১৩/ পাতা খর্বকার ও কোঁকড়ানো হয় এবং নেতিয়ে পড়ে।
১৪/ উদ্ভিদে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয় এবং ফুল, ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়৷।
১৫/ বীজের সংখ্যা কমে যায়।
১৬/ আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ন দাগ পড়ে যায়।
১৭/ ফুলকপি ও বাঁধাকপির পাতা সজীবতা হারিয়ে ফেলে।
বাঁধাকপি ও ফুলকপির কান্ড ফাঁপা, ফুলকপির গোলাপী রঙ ধারণ করে।
১৮/ আলু, বেগুন, মূলো, বাঁধাকপি ফেটে যাওয়া।
১৯/ গাছের ডগা কালো হয়ে শুকিয়ে যাওয়া।
২০/ বোরনের অভাবে মুলা, বীট ভিতরে অংশে কালো পচন দেখা যায়।
২১/ কুমড়ো জাতীয় সবজির কান্ড ফেটে যাওয়া।
২২/ সূর্যমুখীর ফুলে চিটে দানা হয়।
২৩/ গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সেচ দেওয়ার পরও অনেক সময় কচিপাতা নেতিয়ে পড়া অবস্থায় থাকে।
২৪/ আখের পাতার শীর্ষ ভাগে ও কোনায় পুড়ে যাওয়ার মতো অনুসর্গ পরিলক্ষিত হতে পারে।
বোরন অতিরিক্ত প্রয়োগ জনিত লক্ষণ:
১/ পাতার আগার দিকে হলদে হয়। পরে বিবর্ণ হয়ে পাতার কিনারা বরাবর নিচের দিকে ছড়াতে থাকে।
২/ পাতা ঝড়ে পড়তে পারে।
৩/ সমস্ত গাছ পুড়ে যাওয়ার মত দেখায়
৪/ বোরনের প্রয়োগ মাত্রা বেশি হলে কচি পাতা এবং ডগা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফলন অনেক কমে যায়।
সার প্রয়োগের মাত্রা বা পরিমাণ:
প্রতিকার হিসাবে জমি তৈরির সময় বিঘা প্রতি ১ কেজি বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে
অথবা জমিতে বোরনের অভাব দেখা দিলে প্রতি লিটার জলে ১-১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সাবধানতা:
১/ মাটি পরীক্ষা করে মাটিতে বোরনের ঘাটতির পরিমাণ জেনে নেয়া উত্তম।
২/ সুপারিশকৃত মাত্রার অতিরিক্ত বোরন প্রয়োগ করা যাবে না। বেশি প্রয়োগ করলে বিষাক্ততা দেখা দিতে পারে।
No comments