মরিচের পাতা কোকরানো রোগ (ভাইরাস জনিত) দমনের কার্যকরী উপায়-কৃষিসেবা২৪
মরিচের পাতা কোকরানো রোগ (ভাইরাস জনিত) দমনের কার্যকরী উপায়
পাতা কোকড়ানো মরিচ গাছের খুবই মারাত্মক একটি রোগ। যদি পাতা গুলো উপরের দিকে নৌকার মত কুঁকড়ে যায় তবে এটা ভাইরাস এবং যদি নিচের দিকে কুঁকড়ে যায় তবে এটি মাকড়ের আক্রমণে হয়।
লক্ষণ:
১. আক্রান্ত পাতা উপরের দিকে নৌকার মত কুঁকড়ে যায়। পাতার নিচে হলুদ শারীরে সাদা পাখাওয়ালা মাছি(সাদা মাছি) দেখা যায়।
২. পুরোনো পাতাগুলো শক্ত ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
৩. পাতার মাঝের শিরাগুলো হালকা হলুদ হয়ে যায়।
৪. গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
৬. দেখতে মনে হয় থ্রিপস বা মাকড়ের আক্রমণ হয়েছে।
৫. ফলন কমে যায় ও এবড়ো থেবড়ো হয়।
৭. পাতাগুলো ছোট গুচ্ছাকৃতির হয়।
৮. গাছে অতিরিক্ত ডালপালা জন্মায় ও ঝোপের মতো হয়।
রোগের বিস্তার :
এ ভাইরাটি সাধানণত বীজ থেকে ছড়ায় না। এই ভাইরাসটির নাম Begomo ভাইরাস। এটি সাদা মাছি, থ্রিপস, সংক্রমিত চারা ও আগাছা থেকে ছড়ায়। সাধারাণত সাদা মাছি গুলো তখন পাতার নিচের দিকে থাকে, এরা ১.৫ মিমি লম্বা হয় এবং হালক হলুদ শরীরে সাথে মোম আবৃত সাদা পাখা থাকে। এছাড়া এটি আরো বিভিন্ন কারনে এ ভাইরাস ছড়ায়, যেহেতু এটি ভাইরাস তাই এটি সাধারণ ভাইরাসের মত সংক্রমিত হয়, যেমন বৃষ্টি, পানি, আগাছা, নার্সারি থেকে কোন গাছের মাধ্যমে ইত্যাদি।
প্রতিষেধক:
এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক নেই। প্রাথমিক অবস্থায় পাতা অপসারন করে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে বেশি আক্রন্ত গাছ যত তারাতারি সম্ভব তুলে পুড়িয়ে বা মাটিতে ফুতে ফেলতে হবে।
জৈবিক প্রতিরোধ:
মরিচ গাছ লাগানোর সময় থেকে প্রতি ১০-১৫ অন্তর অন্তর নিম তেল স্প্রে করুন। প্রতি লিটার পানিতে ১-২ টেবিল চামচ নিম তেল ও ১-২ চা চামচ ডিশ ওয়াশ ভাল করে মিশিয়ে স্প্রে করবেন।
প্রাকৃতিকভাবে ফসল সুরক্ষার পণ্য হলুদ স্টিক ট্র্যাপের জুড়ি নেই। চাইলে এই ট্র্যাপ ব্যবহার করে পোকা দমন করা যায়।
রাসায়নিক প্রতিরোধ:
রাসায়নিক নিয়ন্ত্রন পদ্ধতিতে অনেক উপকারি পোকার ক্ষতি হয় তাই জৈবিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন। রাসায়নিক নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ইমাডাক্লোরোপিড জাতীয় কীটনাশক যেমন: ইমিটাফ/ এডমায়ার/টিডো/গেইন স্প্রে করুন।যদিও এ ভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকর কোন প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক নেই।
No comments