Google Ads

পেঁয়াজ চাষাবাদ পদ্ধতি (জাত এন-৫৩)

পেঁয়াজ চাষাবাদ পদ্ধতি (জাতঃ এন ৫৩)


জাতঃ এন ৫৩

যে কৃষিজ পণ্য ভারতবর্ষ বিদেশে রপ্তানি করে তাদের মধ্যে ৭৫ % হল পেঁয়াজ .  ভারতবৰ্ষ পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে, প্রথম চীন.ভারতবর্ষে প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য গুলি হলো মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ইত্যাদি. পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলাতে বাণিজ্যিক ভাবে পেঁয়াজ চাষ হয় তাদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল হুগলী,নাদিয়া,মুর্শিদাবাদ,উঃ ২৪ পরগনা ইত্যাদি.



আবহাওয়া:- পেঁয়াজ সাধারণত ঠান্ডা মরসুমের ফসল. খুব বেশি ঠান্ডা  বা গরম বা বৃষ্টিপাত সহ্য করতে পারেনা.

মাটি :- জৈব পদার্থযুক্ত উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন বেলে দোঁয়াশ মাটি বা হালকা এটেল মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য আদর্শ. মাটির PH ৫.৬ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকা ভালো.


জাত :- 


উন্নত রবি - 
               সুখ সাগর, পুসা রেড,পুসা মাধুরী,অর্ক নিকেতন,রেড রাউন্ড,অর্ক বিন্দু,পাঞ্জাব সিলেকশন, পুসা রত্না, ইত্যাদি.

উন্নত খরিফ:- 
               অগ্রিফাউন্ড ডার্ক রেড,অর্ক কল্যান,এন-৫৩,বসন্ত-৭৮০,হাইব্রিড:- অর্ক লালিমা, অর্ক কীর্তিমান, রাজা রেড ইত্যাদি.


বীজতলা তৈরী :- 

ভালো জলনিকাশী ব্যবস্থাযুক্ত উঁচু জায়গা বীজতলার জন্য নির্বাচন করা উচিত. বীজতলার মাপ ১ মিটার চওড়া প্রয়োজন মতো লম্বা ও 20 থেকে ৩০ সে.মি  উচ্চতা বিশিষ্ট হওয়া উচিৎ. ১ বিঘা জমির জন্য ৫০-৬০ বর্গমিটার বীজতলার প্রয়োজন.বীজতলার মাটি ভালোভাবে কুপিয়ে প্রতি বর্গমিটারে ৩-৪ কেজি শুকনো পচানো গোবর সার বা ১ কেজি কেঁচো সার মেশাতে হবে. কার্বেন্ডাজিম ৫০% জাতীয় ছত্রাকনাশক ২-৩ গ্রাম/লিটার জলে গুলে বীজতলার মাটি ভিজিয়ে দিয়ে ৭ দিন পলিথিন ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে. বোনার আগে কার্বেন্ডাজিম ৫০% বা ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি ৪ গ্রাম করে প্রতি কেজি বীজে মাখিয়ে নিতে হবে.


বীজ বপন :-

 প্রতি বিঘা জমির জন্য ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২৫০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন.

কন্দ বসানো:- ৫০-৬০ কেজি/একর,
বোনার দূরত্ব:-৫-৭ সে.মি দূরত্বের সারিতে বীজ বোনা উচিত.

বীজ বোনার পর শুকনো গুঁড়ো গোবর সার পাতলা করে ঢেকে দিয়ে শোধন করা খড় দিয়ে বীজতলাকে ঢেকে দিতে হবে,অঙ্কুরিত হওয়া পর্যন্ত ঝাঁঝরি দিয়ে জল দিতে হবে. 

বীজ বোনার সময় :- নবি ফসলের জন্য কার্তিক অগ্রহায়ণ ও 
ONION SEED
জলদি ফসলের জন্য ভাদ্র-অশ্বিন



চারা রোপন :- 

৭-৮ সপ্তাহের চারা মুল জমিতে বসানোর উপযুক্ত হয়. চারা বসানোর উপযুক্ত সময় বিকেল বেলা.চারা বসানোর পূর্বে চারার শেকড় ডি.এ.পি দ্রবণে (৭৫ গ্রাম ৫ লিটার জলে) ১-২ মিনিট ডুবিয়ে নিলে শেকড়ের বৃদ্ধি ভালো হয়. 

চারা বসানোর দূরত্ব :- ১৫-২০ সে.মি * ৮ - ১০ সে.মি 


সার প্রয়োগ :- 

মূল জমি তৈরির ১৫-২০ দিন আগে বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ কেজি নিম খোল প্রয়োগ করলে মাটি অনেকখানি জীবাণুমুক্ত হয়. জমি তৈরির সময় বিঘা প্রতি  ১২ - ১৫ কুইন্টাল গোবর সার বা ৩ - ৪ কুইন্টাল কেঁচো সার প্রয়োগ করা উচিৎ. 

মূল সার :- বিঘা প্রতি ইউরিয়া -১২-২০ কেজি,সিঙ্গেল সুপার ফসফেট - ৬০ - ৭০ কেজি, মিউরেট অফ পটাশ - ২৫-৩০ কেজি , 
চারা রোপনের ৩০ ও ৬০ দিন পরে চাপান সার হিসাবে ইউরিয়া-১০ কেজি এবং মিউরেট অফ পটাশ ৭ কেজি হারে ব্যাবহার করতে পারেন.সালফার পেয়াঁজের ঝাঁঝ তৈরি ও বেশি দিন রাখতে সাহায্য করে. জমিতে মূলসার হিসাবে সিঙ্গেল সুপার ফসফেট দেওয়া না থাকলে আলাদা ভাবে বিঘা প্রতি ৪-৫ কেজি সালফার প্রয়োগ করা দরকার. 

অনুখাদ্য প্রয়োগ:- 

পেঁয়াজের ভালোফলন পেতে ও গুণগত মান বাড়াতে জিঙ্ক, বোরন ঘটিত অনুখাদ্য ব্যাবহার করা উচিত.
আগাছা নিয়ন্ত্রণের জন্য চারা বসানোর ১৫ এবং  ৩০ দিনের মাথায় ২ বার নিড়ান দিতে হবে, আগাছা মুক্ত বীজ ব্যাবহার করা উচিত,প্রয়োজন মতো সার গাছের গোড়ার কাছে দিতে হবে.


ফসল তোলা  :- 

প্রায় ৬০% গাছের পাতা শুকিয়ে গেলে তখন বুঝতে হবে কন্দ সম্পূর্ণ পরিপক্ক  হয়েছে. জাত অনুযায়ে রোপনে গা০ থেকে ১৩০ দিন এ ফলন তোলা যায়. 

ফলন :- জাত ভেদে পেঁয়াজের ফলনের পার্থক্য দেখাযায়. গড় ফলন বিঘা প্রতি ৩০- ৪০ কুইন্টাল পর্যন্ত হতে পারে.
সূত্রঃ ইন্ডিয়ান ওয়েবসাইট

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.
close