Google Ads

আমের মাছি পোকা দমনের আধুনিক কৌশল--কৃষিসেবা২৪

আমের মাছি পোকা দমনের আধুনিক কৌশল

আমের মাছি পোকা দমনের আধুনিক কৌশল


আমের ক্ষতিকর পোকা হলো আমের মাছি পোকা। চলুন এই পোকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মাছি পোকা দ্বারা পরিপক্ব আম আক্রান্ত হয়ে থাকে। অপরিপক্ক আমেও এ ধরণের আক্রমন দেখা যায় তবে সেটা মাছি পোকা না। প্রচলিত জাত সহ প্রায় সকল জাতের আমে এ পোকার আক্রমন দেখা যায়।

ক্ষতির ধরণ:


স্ত্রী পোকা অভিপজিটরের সাহায্যে গাছে থাকা অবস্থায় পাকা বা পরিপক্ক আমের গা চিরে ডিম পাড়ে অর্থাৎ খোসার নিচে ডিম পাড়ে। আক্রান্ত স্থান থেকে অনেক সময় রস বের হয়। বাইরে থেকে দেখে কোনটি আক্রান্ত আম তা ঝুঝা যায় না। এ পোকার কীড়া পাকা আমের মধ্যে প্রবেশ করে শাঁস খেয়ে ফেলে। এতে ফল পচে যায় ও ঝরে পড়ে। আক্রান্ত আম কাটলে ভেতের সাদা রঙের অসংখ্য কীড়া দেখা যায়। সাধারণত এ পোকা আমের ওপর এবং নিচ উভয় অংশে আক্রমণ করে। পোকার আক্রমণ বেশি হলে গাছের সব আম খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।

প্রতিকার বা দমন ব্যবস্থাপনা:


* গাছে আম সম্পূর্ণ পাকার আগেই পেড়ে আনতে হবে।
আক্রান্ত আম সংগ্রহ করে মাটির নিচে গভীর গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে।

* আম পরিপক্ব ও পাকার মৌসুমে আম বাগানে ব্লিচিং পাউডার প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে স্প্রে করা যেতে পারে।

* সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রচুর পুরুষ পোকা মারা যাবে এবং বাগানে মাছি পোকার আক্রমণ কমে যাবে।

* আম পরিপক্ব হওয়ার সময় প্রতিটি আম কাগজ (ব্রাউন পেপার) দ্বারা মুড়িয়ে দিলে আমকে মাছি পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে।

* পাকা আমের সাথে কার্বারিল জাতীয় কীটনাশক মিশিয়ে বিষটোপ বানিয়ে বাগানের বিভিন্ন জায়গায় রাখলে মাছি পোকা দমন করা সম্ভব।

* এছাড়া সাইপারমেথ্রিন, ডায়াজিনন, কার্বারিল, ক্লোরোপাইরিফস জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করে মাছি পোকা দমন করা যেতে পারে।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.
close