লাউ এর মাছি পোকা দমনের আধুনিক কৌশল। কৃষিসেবা২৪
লাউ এর মাছি পোকা দমনের আধুনিক কৌশল। কৃষিসেবা২৪
লাউ আমাদের দেশে বহুল জনপ্রিয় একটি সবজি। গুণে-মানে অতুলনীয় এই সবজি চাষে কম ধকল পোহাতে হয় না চাষীদের। আজ থাকছে লাউয়ের মারাত্মক মাছি পোকার আক্রমনের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়।
লাউ এর মাছি পোকা
এ পোকা দেখতে সাধারণ মাছির মতো, স্বচ্ছ পাখা, হলুদ পা, ত্রিকোণাকার পেট ও বাদামী ঘাড় মাঝে লম্বা হলুদ দাগ বিশিষ্ট। এটি খুবই ক্ষতিকর পোকা যা ফসলের ১০০ ভাগ ক্ষতি করে থাকে সময়মত দমন না করলে।
লক্ষণ
১। স্ত্রী পোকা কচি ফলের নিচের দিকে অভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পারে
২। আক্রান্ত ফল থেকে পানির মতো তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী বর্ণ ধারণ করে
৩। ডিম থেকে কীড়া বের হয় তা পরে ফলের শাস খেতে শুরু করে যার কারণে ফল বিকৃত হয়, পচে যায় ও হলুদ বর্ণ ধারণ কোড়ে ঝ্রে পরে যায়।
৪। বিকৃত ফল না বাড়ার কারণে ফলন কমে যায়।
প্রতিকার:
১/ ভালোভাবে জমি চাষ করতে হবে।পোকা আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। কচি ফল গুলোকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
২/ এ পোকা দমনের জন্য বিষটোপ অথবা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। লাউ এর মাচার কাছে একেই উচ্চতায় একটি মাটির পাত্রে ১০০ গ্রাম কুমড়া/লাউ থেতলানো/বাটা নিয়ে তাতে ৫/৬ ফোটা যে কোন কীটনাশক মিশিয়ে উপরে একটি ঢাকনা কিছুটা ফাঁকা করে স্থাপন করতে হবে। এভাবে বিষটোপ তৈরী করে পোকা দমন করা যায়।
৩/ সেক্স ফেরোমন এর মাধ্যমে মাছি পোকা দমন বেশ কার্যকরী। প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৯ টি।
৩/ সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
No comments